কোনো দেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বিগত ১০ বছরে নেয়া হয়েছে নানাবিধ উদ্যোগ। দেশের ৫ কোটি ৪১ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১ কোটি ৬২ লাখ নারী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৯৭ জন। নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণের  ফলে আগামী ৫ বছরে ২৮ সহস্রাধিক নারী উদ্যোক্তা বের হয়ে আসবেন সারাদেশ থেকে। তারা নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে নিতে পারবেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতেও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিনা সুদে ঋণ দিয়ে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়তা করা, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জয়ীতা ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা এবং তথ্য ও প্রযুক্তিতে নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নারীরা আজ চেনা গন্ডির বাইরেও নিজেদের সাফল্য অর্জন করছে।
সরকারি কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার সেনসিটিভ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ২০২০ সালের জুনের মধ্যে আরো ৫৬ হাজার ১শ’ নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, যাতে তারা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে সক্ষম হন।
এছাড়াও তৃণমূলের নারীদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশব্যাপী ১২ হাজার ৯৫৬টি পল্লি মাতৃ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য , পুষ্টি, মা ও শিশুর যত্নসহ যাবতীয় বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাসে উন্নীত করা হয়েছে এবং দরিদ্র ও গর্ভবতী মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হচ্ছে। জেলা ভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১৩,৪৩২ জন শিক্ষিত বেকার নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
নারীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশকে নারীর ক্ষমতায়নের এক রোল মডেলে পরিণত করেছে।

Found this article interesting? Follow Techtribune24 on Facebook, Twitter and LinkedIn to read more exclusive content we post.