রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে কনভয় থেকে নেমে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া শুনতে থাকেন, অনিশ্চিত যাত্রাকে সঙ্গে করে রোহিঙ্গারা কীভাবে সীমান্ত পেরিয়েছে। কয়েক দিনের ওই বিপদসংকুল যাত্রার কথা শুনে একপর্যায়ে রোদচশমা খুলে চোখের জল মোছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। 
তিনি বিড়বিড় করে ‘চরম ভয়ঙ্কর’ শব্দ দুটি উচ্চারণ করে হাঁটতে শুরু করেন। বলিউড-হলিউড তারকা গিয়েছিলেন টেকনাফের হাড়িয়াখালীর ভাঙ্গার এলাকায়। সেখানে প্রিয়াঙ্কা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে শুনতে থাকেন, তারা প্রথমে এক বা কখনও একাধিক পাহাড় ডিঙিয়ে, নদী আর সাগর পেরিয়ে সবশেষে দীর্ঘ পথ হেঁটে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসে। 
তার সামনে দাঁড়ানো ইমাম হোসেনকে নাফ নদীর দিকে দেখিয়ে প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন করেন, তোমরা কি ওই পথ দিয়ে এসেছো? জামা কোথায়? ইমাম জানায়, প্রচণ্ড গরম, তাই সে জামা গায়ে দেয়নি। এরপর আরও কয়েকজন শিশুকে কাছে ডাকেন প্রিয়াঙ্কা। এদের অনেকের গায়ে জামা ছিল না। পরে তাদের নিয়ে তিনি ছবি তোলেন।
ইউনিসেফ পরিচালিত শিশুবান্ধব কেন্দ্রে এসে ঘণ্টাখানেক কাটান প্রিয়াঙ্কা। তিনি শিশুদের সঙ্গে লুডু খেলেন। তাদের আঁকা ছবি নিয়ে গল্প করেন। তিনি খেলনা চায়ের কাপ নিয়েও শিশুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন। পরে প্রায় মিনিট ১৫ হেঁটে লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে শিবির ছেড়ে যান। 
শিবির ছাড়ার আগে তিনি শিশুদের হিন্দিতে স্কুলে যাবে কিনা জানতে চান। এরপর তিনি তাদের স্কুলে যেতে বলেন, নিজের দিকে খেয়াল রাখার কথাও বলেন। সবার শেষে ‘খোদা হাফেজ’, ‘আবার দেখা হবে’ বলে বিদায় নেন।
প্রায় এক দশক ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ২০১৬ সালে শিশু অধিকারবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হন। সিরিয়ার শরণার্থী শিশুদের দেখতে গত বছর জর্ডনে যান প্রিয়াঙ্কা। 

Found this article interesting? Follow Techtribune24 on Facebook, Twitter and LinkedIn to read more exclusive content we post.