ফাইনালে বদলি হিসেবে খেলতে নামা মারিও গ্যোৎসের গোলে ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফাইনালে তার গোল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের কাঁদিয়েছিল। ৮৮ মিনিটে মাঠে নামানোর সময় ২২ বছর বয়সী মারিও গ্যোৎসেকে কোচ জোয়াকিম লো বলেছিলেন, বিশ্বকে দেখিয়ে দাও তুমি মেসির চেয়েও ভালো।’ সেই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ১১২ মিনিটের সময় মারিও গ্যোৎসে গোলটি করেন। বিশ্বকাপ জেতানো গোল করা প্রথম বদলি খেলোয়াড় তিনি। বিশ্বকাপে বিভিন্ন সময়ে বদলিরা এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ গোল করেছেন।
ভিক্টর এসপারাগো
উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা ছিলেন। কিন্তু ১৯৭০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে গোল না পাওয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুতে তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। ৯০ মিনিটে দুই দল গোল করতে না পারায় খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। ১০৩ মিনিটের সময় এসপারাগোকে মাঠে নামানো হয়। এরপর ১১৭ মিনিটের সময় হেড থেকে গোল করে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
হার্নান মেডফোর্ড
১৯৯০ সালে কোস্টারিকার এই ফুটবলারের বয়স ছিল ২১। শেষ ১৬-তে যেতে সুইডেনের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার জয় প্রয়োজন ছিল। কিন্তু খেলায় প্রথমে গোল করে সুইডেন। কোস্টারিকার অধিনায়ক পরে গোল করে খেলায় সমতা আনেন। তবে খেলা শেষের মিনিট তিনেক আগে গোল করে মেডফোর্ড কোস্টারিকাকে শেষ ১৬তে নিয়ে গিয়েছিলেন।তাকে কিন্তু মাঠে নামানো হয়েছিল ৬০ মিনিটের সময়।
ইলহান মানসিজ
২০০২ বিশ্বকাপে তুরস্কের সবগুলো ম্যাচে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে সেনেগালের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তা-ই হয়েছিল। ৬৭ মিনিটের সময় তাকে মাঠে নামানো হয়। অতিরিক্ত সময়ে ‘গোল্ডেন গোল’ করে তুরস্ককে সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন মানসিজ।
জিয়ানি রিভেরা
১৯৭০ সালে জার্মানি ও ইতালির মধ্যকার সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে পাঁচটি গোল হয়েছিল। খেলাটি ইতালি জিতেছিল ৪-৩ গোলে। জয়সূচক গোলটি করেছিলেন রিভেরা। মাঠে তিনি নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে।
Found this article interesting? Follow Techtribune24 on
Facebook,
Twitter and
LinkedIn to read more exclusive content we post.