সম্প্রতি অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি কওমি শিক্ষা সম্পর্কে কথা বলেন।
একটি টিভি চ্যানেলে টকশো অনুষ্ঠানে তিনি কিছু মন্তব্য করেন মূলত সেই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়।
তিনি বলেন, মাদ্রাসার লোকেরা যে লেখাপড়া জানেন না, এটা সঠিক নয় বরং আমি চ্যালেঞ্জ করবো, তাদের সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা ৫জন পাবেন না তর্কে পারবে। নিচে ভিডিওটি দেওয়া হয়েছে দেখে নিন।
আরো পড়ুন:: মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, যারা তুরস্ককে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় তারা অচিরেই হতাশ হবে।
শনিবার একটি মহাসড়কের উদ্বোধনকালে এরদোগান এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলু এজেন্সি’র। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক তার সার্বভৌম অধিকার ব্যবহার করতে কখনো সঙ্কোচ করবে না।
এ ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ এরদোগান আরো বলেন, ‘আন্তঃমহাদেশীয় বাণিজ্যের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠা তুরস্কের জন্য একটি বড় অর্জন, যা আমাদের ৮৩ মিলিয়ন মানুষকে উপকৃত করবে।’
তুরস্কে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা একটি বড় অগ্রগতি আশা করছি।’
গত সোমবার রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ব্যাপার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এই নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রেসিডেন্সি (এসএসবি) এবং এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া হয়েছে। ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এরদোগান।
আরও সংবাদ
‘আমরা বিজয় অর্জনকারী জাতি, বিশ্ব দরবারে চলতে হবে মাথা উঁচু করে’
সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নবীন ক্যাডেটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ, একটি জাতি। সবসময় সে কথা মাথায় রেখে, মনে সাহস রেখে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে হবে এবং নিজেদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।‘
রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে বিমান বাহিনী একাডেমি যশোর প্রান্ত যুক্ত ছিল।
তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের নবীন কর্মকর্তারা তোমরাই হবে সেই কর্ণদ্বার, তোমরাই আমার ২০৪১ এর সৈনিক। সেইভাবে নিজেদের গড়ে তুলবে, দেশকে ভালোবাসবে, মানুষকে ভালোবাসবে, দেশ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ থাকবে। জাতির পিতার আর্দশ নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাবে। ইনশাল্লাহ আমরা আর পিছিয়ে থাকবো না।’
কোনোকিছুতেই যেন বাংলাদেশ পিছিয়ে না থাকে, তার জন্য যা যা দরকার সেটা করে যাচ্ছি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খুব দুঃখিত করোনা মহামারির কারণে আমার যাতায়াত খুব সীমিত। যে কারণে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। এটা আমার জন্য খুব দুঃখের, কষ্টের। আশাকরি এই ধরনের করোনা দুর্ভোগ থেকে বাংলাদেশ অচিরেই মুক্তি পাবে। ভবিষ্যতে আবার সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারব।’
সরকারের একটি আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার নানা প্রচেষ্টা তার বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এর অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তিভিত্তিক বিমান বাহিনী গড়ে তোলার দিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেই। সেই সময়ে সর্বাধুনিক মিগ-২৯ বিমান ক্রয় করি। পাশাপাশি আধুনিক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিমান, হেলিকপ্টার, র্যাডার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র এবং মুখ্য যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছি। অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার গড়ে তুলি। তেঁজগাও বিমানবন্দর বিমান বাহিনীকে উপহার দেই, যাতে বিমান বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ আরও দৃঢ় করতে পারে এবং এগিয়ে যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যাধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। যার তিনটি বিমান ইতোমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। বৈমানিকদের উন্নততর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে আরও ৭টি অত্যাধুনিক কে-৮ ডব্লিউ জেট ট্রেইনার বিমান সংযোজন করা হয়েছে এবং অচিরেই যুক্ত হতে যাচ্ছে পিটি-৬ সিমুলেটর। এছাড়াও শিগগিরই যুক্ত হবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল সিস্টেম, মোবাইল গ্যাপ ফিলার র্যাডার এবং সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স র্যাডার। ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমান বাহিনীকে উন্নত ও আধুনিকায়নে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, লালমনিরহাটে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিমান চলাচল, বিমান নির্মাণ ও মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চা হবে। যার মাধ্যমে একদিন এই বাংলাদেশে যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার তৈরি করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তাছাড়া মহাকাশে বিজ্ঞান চর্চা করা এবং একদিন আমরা মহাকাশে পৌঁছেও যাওয়ার প্রচেষ্টাও সরকার করে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।