নওগাঁর রানীনগর উপজেলার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও এক প্রাইভেট ছাত্রীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ফেসবুকে দেখা গেছে শনিবার থেকে বিভিন্ন আইডি ও লাইক পেজে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এ ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। দ্রুত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা ও স্কুলছাত্রীর অভিভাবকরা। 

জানা গেছে, ওই শিক্ষক ১০-১২ বছর আগে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তিনি ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। চলিত বছরে তিনি সহকারী শিক্ষক লাইব্রেরিয়ান ও তথ্য বিজ্ঞান শিক্ষক হয়েছেন। এরই মাঝে ওই স্কুলের এক প্রাইভেটের ছাত্রীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এ বিষয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে মর্মে গত বছর স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়। সেই সময় স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামচাপা দেওয়া হয়। তারপর থেকেই বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি।

এরপর হঠাৎ করে শনিবার ফেসবুকে ইংরেজিতে লেখা ‘ইসলাম ইসলাম’ নামে এক আইডি থেকে ৫ মিনিট ১০ সেকেন্ডের শিক্ষক-ছাত্রীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে সেই আইডির ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট দেওয়া ছবি ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে ভাইরাল হয়।

এছাড়া ফেসবুকের লাইক পেজ ‘তুমি নেই সারাদিন’সহ বিভিন্ন পেজ ও আইডি থেকে ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনা জানাজানি হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অনেক অভিভাবক জানান, শিক্ষক যদি ছাত্রীর সঙ্গে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন সেই বিদ্যালয়ে আমাদের মেয়েরা কীভাবে নিরাপদ। তাই দ্রুত ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে রানীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রানীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম হোসেন গোল্লা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে পরে জানাব।

এ ব্যাপারে রানীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হবে।



Found this article interesting? Follow Techtribune24 on Facebook, Twitter and LinkedIn to read more exclusive content we post.