ফরে’নসিক রিপো’র্টেই উন্মো’চিত হবে মুনিয়ার মৃ’ত্যুর প্রকৃত রহস্য। ফরে’নসিক বিশে’ষজ্ঞরা বলছেন, ভি’সেরা, ডিএনএ ও মাই’ক্রো’বায়ো’লজির পরীক্ষা শেষে রি’পোর্ট পেতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই মাস। এদিকে দো’ষীর সাজা নিশ্চিতে ফরে’নসিক রিপো’র্টই প্রধান হাতিয়ার বলে মনে করছেন আইন’জীবীরা।

দ্রুত মুনিয়ার ময়’নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে তদন্ত কর্ম’কর্তাকে তৎপর হওয়ার তাগিদও তাদের। কলেজশিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ময়না’তদন্ত শেষ হও’য়ার পর কেটে গেছে ৫ দিন।

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রি’পোর্ট এখনও হাতে পায়নি পুলি’শ। রিপোর্ট পেতে কেন এই বিলম্ব? প্রশ্নের জবাবে বিশে’ষজ্ঞরা বলছেন, মুনি’য়াকে বিষ প্রয়োগ কিংবা ধ’র্ষণ করা হয়েছিল কিনা এমন বেশ কয়েকটি

বিষয় পরী’ক্ষার জন্য পুলি’শের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। যার জন্য প্রয়োজন ভিসেরা, ডিএনএ ও মাই’ক্রো বায়োল’জিক্যাল পরীক্ষা, যা সময় সাপেক্ষ।

এ কারণেই ময়’নাতদ’ন্ত রিপোর্ট পেতে দেড় থেকে দুই মাস অ’পেক্ষা করতে হবে। শহীদ সোহরা’ওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরে’নসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সেলিম রেজা বলেন,

প্রাসঙ্গিক ভিসেরা পাঠিয়েছি। সেগুলোর রি’পোর্ট আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। এ ছাড়া ডিএনএ প্রো’ফাই’লিংয়ের ব্যাপারটাও ১২ সপ্তাহের মতো লাগবে।

মাইক্রো বায়ো’লজিক্যা’লসহ সব মিলিয়ে একটু সময় লাগবে। ফরেনসিক বিশে’ষজ্ঞরা বলছেন, সময়’সাপেক্ষ হলেও এসব পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যাবে মৃ’ত্যুর আসল কারণ। অধ্যাপক সেলিম রেজা বলেন, এ রি’পোর্ট পাওয়ার পর মৃ’ত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

এদিকে, মুনি’য়ার মৃ’ত্যুর ঘটনায় তার স্বজ’নদের করা আ’ত্মহ’ত্যার প্ররোচ’নার মাম’লার তদন্ত ও বিচারকাজে এই ফরে’নসিক রিপো’র্টকেই প্রধান হাতিয়ার ভাবছেন আইন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্ম’কর্তার তৎপর হওয়ার পরামর্শও তাদের।

সুপ্রিম কো’র্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, খুব দ্রুত ময়’নাতদ’ন্তের রিপোর্ট পাওয়া একটা বিচারের অংশ। রিপোর্ট পাওয়ার জন্য বেশি সময় লাগার কথা না।

গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষা’র্থী মুনিয়ার ম’র’দেহ উ’দ্ধার করা হয়। এ ঘট’নায় মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে আ’ত্মহ’ত্যার প্ররো’চনার অভিযোগে গুল’শান থা’নায় মা’মলা করেন। মাম’লার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। আগামী ৩০ মে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধা’র্য রয়েছে।


Found this article interesting? Follow Techtribune24 on Facebook, Twitter and LinkedIn to read more exclusive content we post.