করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে রাজধানীতে লকডাউনের মধ্যে চলছে সব ধরনের যানবাহন। গণপরিবহন না থাকলেও ছোট যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। কখন কোন রাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়বে, তা কেউ জানে না। মঙ্গলবার (৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, উত্তরা, রাজলক্ষ্মী, বিমানবন্দর, মহাখালী, সাতরাস্তা, মগবাজার, কাকরাইল, মতিঝিল, গুলিস্তানে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পণ্যবাহী লরি, বিভিন্ন ওষুধ প্রতিষ্ঠানের গাড়িসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলছে। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মোড়ে আটকা পড়ছে এসব পরিবহন। এছাড়া মোটরসাইকেল ও রিকশার দাপটতো রয়েছেই।

আবার দেখা যায়, রাস্তায় মাঝে মাঝে গাড়ির চাপ বাড়ছে আবার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে কোথাও গাড়ি আটকে থাকছে না।

মিরপুর এলাকায় অভি নামে এক যাত্রী জানান, মিরপুর ১০ নং গোলচত্বর থেকে সিএনজি নিয়েছি যাবে ফার্মগেটে। কিন্তু সময় লেগেছে প্রায় ৫০ মিনিটের উপরে। খামারবাড়ির ওখানে জ্যাম আছে। আবার ফার্মগেটে কোনো জ্যাম নেই।

উত্তরায় মামুন নামে এক যাত্রী বলেন, মতিঝিল যাব। যে সড়কে জ্যাম থাকার কথা নয় সে সড়কে জ্যাম। আবার যে সড়কে জ্যাম অনেক সে সড়ক এখন ফাঁকা। তবে অনেক যাত্রী দাবি করছেন, সড়কে এমন হলে সময়মতো কোনও কাজই করা সম্ভব হবে না।

ফার্মগেটে তারেক নামে এক যাত্রী বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অনেকে শপিংমলে যাচ্ছে। এজন্য রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে।বিজয় সরণি এলাকায় রাস্তার পাশে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তারক্ষী বলেন, শুরুর দিকে চেকপোস্ট কার্যকর থাকায় গাড়ির চাপ কম ছিল।

যেদিন থেকে চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি করা হয় না, সেদিন থেকেই প্রচুর গাড়ি চলাচল শুরু করে। গাড়ির সংখ্যা গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক বাড়ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, গেল দিনের তুলনায় রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত

করা হচ্ছে জনসাধারণকে। তবে ব্যক্তি সচেতনতাই সবার আগে; তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অন্যদিকে খেটে খাওয়া মানুষজন বলছে, জীবিকার তাগিদে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পথে নেমেছেন তারা।


Found this article interesting? Follow Techtribune24 on Facebook, Twitter and LinkedIn to read more exclusive content we post.