গাছে ধ’রে ফুল-ফল। কিন্তু কখনো কি দে’খেছেন, আস্ত এক সে’লাই মেশিন গাছে ঝুলে আ’ছে! তা-ও আবার ১৩৫ বছর ধ’রে। অবাক করা কাণ্ড হলেও সত্যি এমনটি ঘ’টেছে। মনে আ’ছে, নিউজিল্যান্ডের ‘তে ওয়াইরোয়া’র অগ্ন্যুৎপাতের ক’থা? তখন ঘ’টেছিল এমন ঘ’টনা।

১৮৮৬ সালে মাওরি উপজাতিদের এ’লাকা ‘তে ওয়াইরোয়া’ গ্রামটি অগ্ন্যুৎপাতের লেলিহা’ন শিখায় মুখ থুবড়ে পড়ে। গ্রামবাসী নি’রাপ’দ আ’শ্রয়টুকুও নিতে পারেনি সেদিন। যে অবস্থায় তারা ছিলেন; সেভাবেই পুড়ে মমি হয়ে ছিলেন। আজও এ গ্রাম থেকে বিভিন্ন মা’নুষের কঙ্কাল ও হাড়ের স’ন্ধান মেলে।

এরই মধ্যে তে ওয়াইরোয়া নগরী ও তার আশেপাশের এ’লাকা থেকে উ’দ্ধা’র করা হয়েছে মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র। সেগুলো রাখা হয়েছে ‘তে ওয়াইরোয়া’র প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহশালায়। এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো সে’লাই মেশিন। এর বি’শেষত্ব হলো, আ’গুনের তোড়ে সেটি কালের সাক্ষী হতে উঠে বসে গাছে! গাছের দুই ডালের মাঝে জায়গা করে নেয়।

এরপ’র কে’টে গেছে ১৩৫ বছর! একইভাবে গাছে বসে ছিল মেশিনটি যুগ যুগ ধ’রে। প’রে অবশ্য গাছটি পচে যাওয়ায় কে’টে ফেলা হয়। এরপ’র গাছ থেকে নামা’নো হয় সে’লাই মেশিনটি। ঐতিহাসিক নিদর্শনটির এখন জায়গা হয়েছে ‘তে ওয়াইরোয়া’র প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহশালায়।

১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুন মাউন্ট তারাওয়েরার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ‘তে ওয়াইরোয়া’ গ্রাম। আ’গুনের ধ্বংসলীলায় প্রা’ণ হারান ১২০ জ’নের বেশি। ‘তে ওয়াইরোয়া’ আজও সেই ক্ষত বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আ’ছে। প’রিত্যক্ত ও ভু’তুড়ে গ্রা’মের আখ্যা পেয়েছে স্থানটি।

১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে গ্রামটি প্র’তিষ্ঠা করেছিলেন ধ’র্মপ্রচারক সেমৌর মি’লস স্পেনসার। এরপ’র থেকে নিউজিল্যান্ডের বি’শ্বখ্যাত উষ্ণ প্রস’বণ ‘পিঙ্ক অ্যান্ড হোয়াইট টে’রেস’ দেখতে যাওয়ার পথে এ জ’নপ’দে বিশ্রাম নিতেন প’র্য’টকরা।

প্রথমে ভাবা হয়েছিল ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে আ’গ্নেয়গিরি তারাওয়ের’র অগ্ন্যুৎপাতে বিলীন হয়ে গিয়েছে বিখ্যাত দু’টি উষ্ণ প্রস’বণও। প’রে প্রস’বণ দু’টির অস্তিত্বের খোঁ’জ মেলে। ‘তে ওয়াইরোয়া’ এখন প’র্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় এক স্থান। সেখানকার ওয়াইরোয়া ঝরনা, রোটোকাকাহি হ্রদ এবং তারাওয়েরা হ্রদ প’র্যটকদের কাছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

ধ্বং’সপ্রাপ্ত গ্রামটি খননের ফলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা বেশ কিছু জিনিস আ’বি’ষ্কা’র করেন। তারা স’ব কিছুই আ’গ্নেয়গিরির ছাই এবং কাদার নিচ থেকে উ’দ্ধা’র করেন। মাওরি উপজাতিদের অতীত জ’নপ’দের সেই জিনিসগুলো দেখতে ভিড় জমা’ন প’র্যটকরা। রোটোরুয়া শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দ’ক্ষিণপূর্বে এ ঘু’মন্ত গ্রা’মে সা’জানো আ’ছে পাথরের তৈরি গুদামঘ’র, মাওরিদের নৌকা এবং কা’মা’রশালা।

প্রত্নতাত্ত্বিক এস’ব জিনিসগুলো সংগ্রহ করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ‘তে ওয়াইরোয়া’র সংগ্রহশালায়। বিস্ময়কর বি’ষয় হলো, এ মৃ’ত জ’নপ’দ কিন্তু ব্য’ক্তিগত স’ম্পত্তি। ১৯৩১ সালে ‘তে ওয়াইরোয়া’ কিনে নেন এক দ’ম্পতি- রেগ এবং ভি স্মিথ। সে স’ময় এ জমিতে একটি মাত্র বাড়ি ছিল। স্মিথ দ’ম্পতি কিনে নেওয়ার প’রে ওই গ্রা’মে শুরু হয় খননকাজ।

এখন রেগ এবং ভি স্মিথ দ’ম্পতি প’রিবারের তৃতীয় প্রজ’ন্ম ভু’তুড়ে গ্রামটির মালিকানা লাভ করেছেন। স্থানটির দেখভাল ও প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসগুলো সংরক্ষণে তারাও যথেষ্ট যত্নবান। ভু’তুড়ে প’রিচয় পেলেও ‘তে ওয়াইরোয়া’ গ্রামটি প’র্যটকদের কাছে বেশ জ’নপ্রিয়।


Found this article interesting? Follow Techtribune24 on Facebook, Twitter and LinkedIn to read more exclusive content we post.