ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ গ্রামে। মৃত ফকিরচাঁদ মণ্ডলের ছেলে ১০২ বছর বয়সি মো. মল্লিক মণ্ডল খাদ্য সহায়তা চেয়ে জরুরি সেবা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেন। এর পর খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তার বাসায় হাজির হন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহিউদ্দীন। সহায়তা হাতে পেয়ে শতবর্ষী মল্লিক মণ্ডল আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
ইউএনও জানান, জরুরি সেবায় কলের ভিত্তিতে সহায়তা দেওয়া হয়েছে একই গ্রামের ভ্যানচালক জমশের আলী, উপজেলার উথলী গ্রামের দিনমজুর শহিদুল ইসলাম, দিনমজুর মো. নাদিম ও হতদরিদ্র শামিমা আক্তারকে।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কর্মহীন হয়ে পড়া চা দোকানি, ভ্যানচালক, দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিকসহ নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত আছে।
এ ছাড়া ৪র্থ দফায় লকডাউনের প্রথম দিন থেকে এ পর্যন্ত জরুরি সেবা ৩৩৩ নাম্বারের ফোনকল পেয়ে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে অন্তত ৫০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় নিম্নআয়ের মানুষের খাদ্য সংকট মেটাতে সবসময় কাজ করছে জীবননগর উপজেলা প্রশাসন বলেও জানান তিনি।